Meta Update: ফেসবুক নতুন ফিচার – বিরত রাখুন সন্তানদের

Meta পিতামাতাদের Facebook এবং Instagram অ্যাপে তাদের সময় পরিচালনা এবং তত্ত্বাবধান নিয়ন্ত্রণ করার আরও উপায় দিচ্ছে।

আজকের দিনে আমরা স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট জগতে বেশী ঝুকে পরেছি, যার প্রভাব পরেছে আমাদের সন্তানদের উপর। বেশিরভাগ সময় তারা মোবাইল গেম খেলার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এমন সময় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ধমক দেন ফলে বিভিন্ন রকম নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। বাচ্চাদের নিরাপত্তার কথা মাথাই রেখে Meta-র তরফ থেকে Facebook এবং Instagram প্ল্যাটফর্মের জন্য নতুন প্যারেন্টাল টুল তৈরি করা হয়েছে। এই ফিচারে মেসেঞ্জার এবং ইনস্টাগ্রামে অবাঞ্ছিত ম্যাসেজগুলিকে ব্লক করতে এবং তাদের অনলাইনে সারাদিন ব্যস্ততা থেকে বিরত রাখবে।

Meta-র এই নতুন টুল কি এবং এর কাজ কি?

সম্প্রতি, টেক জায়ান্ট মেটা তার ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার এবং ফেসবুক অ্যাপে  অভিভাবকদের জন্য একটি ফিচার চালু করেছে যার নাম মেসেঞ্জার সুপারভিশন কন্ট্রোল (Messenger Supervision Control)। এই ফিচারের সাহায্যে পিতামাতা বা অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি নিয়ন্ত্রন করতে পাবে। অর্থাৎ আপত্তিকর কন্টেন্ট বা অবাঞ্ছিত মেসেজ আসছে কিনা তা দেখতে পারবেন এবং প্রয়োজনে কন্ট্রোল করতে পারবে। 

এছারাও এই ফিচারের সাহায্যে তাদের সন্তানদেরদের মেসেঞ্জার পরিচিতি তালিকায় পরিবর্তনগুলি ট্র্যাক করতে এবং তারা অ্যাপে কতটা সময় ব্যয় করে তা চেক করার অনুমতি দেবে পাশাপাশি অ্যাপ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মিলবে রিমাইন্ডার। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের জন্য দৈনিক সময়সীমা সেট করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি যদি আপনার সন্তানদের জন্য সোশাল মিডিয়া অ্যাক্সেস করার জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিট সেট করে রাখেন, তবে অতিরিক্ত সময় থেকে মিলবে রিমাইন্ডার। 

মেসেঞ্জার এবং ইনস্টাগ্রামের এই সেফটি ফিচার্সগুলি মানসিক স্বাস্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিষেবার সাহায্যে বাচ্চারা যদি কাউকে ব্লক করে বা ফলো করে তাহলে এই সংস্থা অভিভাবকদের নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। প্রকৃতপক্ষে, প্ল্যাটফর্মটি নিশ্চিত করতে চায় যে শিশুরা সোশ্যাল মিডিয়াতে নিরাপদ এবং তাদের কোনো অজানা বা ভুলভাল অ্যাকাউন্টের সাথে চ্যাট করার সম্ভাবনা নেই।

এর আগে ২০২১ সালে ইনস্টাগ্রামে টেক এ ব্রেক নামে বৈশিষ্ট্যটি চালু করা হয়েছে, যার সাহায্যে ব্যবহারকারীরা নিজেদের সুবিধা মতো টাইম সেট করে রাখতে পারবে। এই অপশনের মাধ্যমে সর্বাধিক ৩০ মিনিট টাইম সেট করে রাখা যাবে। একটানা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার থেকে ইউজারদের ব্রেক দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে এই অপশন। রিমাইন্ডারের মাধ্যমে ইউজারদের সচেতন করাই নতুন এই অপশনের মূল লক্ষ্য। যাইহোক, ফেসবুকের (Facebook) নতুন এই ফিচার আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় উপলব্ধ হবে। তবে আসা করা যাচ্ছে আগামী মাস গুলিতে সারা বিশ্বজুরে শুরু হবে।