এখুনি অফ করে দিন ফোনের Bluetooth, নইলে বড় বিপদ! 

অকারণে সর্বক্ষণ অন রেখেছেন ব্লুটুথ? ভুলেও এই কাজ করবেন না

Bluetooth Attacks: স্মার্টফোন ব্যবহার করেনা এরকম লোকের সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকজন। ৮ হোক বা ৮০ মোবাইলে কার্টুন দেখা থেকে শুরু করে ব্যাংকে লেনদেন করার জন্য আমরা প্রতিদিনই স্মার্টফোন ব্যবহার করি। এছাড়া ফেসবুক, টুইটার ও চ্যাটিং অ্যাপগুলোতে থাকে আমাদের ব্যক্তিগত কথোপকথন। অনেকেই আবার অফিসের জরুরি ইমেইলগুলোও পাঠিয়ে থাকেন স্মার্টফোন দিয়েই। এছাড়াও অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন ইয়ারফোন ব্লুটুথ (Bluetooth)-এর মাধ্যমে ফোনে কানেক্ট করে গান শুনতে পছন্দ করেন।

কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, গান শোনার পর ব্যস্ততার ফলে বা ভুলবশত এই ব্লুটুথ অফ করতে ভুলে যান। তবে আপনি জানেন কি আপনি নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছেন। কারণ অপ্রয়োজনে ফোনের ব্লুটুথ অন রাখা উচিত নয়, যার ফলে হতে পারে ব্লুটুথ হ্যাকিং বা ব্লুবাগিং (Bluebugging)। আপনিও কি এই একই কাজ করে থাকেন? তাহলে এরপর থেকে এই কাজ আর করবেন না। নাহলে হ্যাকাররা সহজেই হ্যাক করে নিতে পারে আপনার ডিভাইস। রইল বিস্তারিত তথ্য।

ব্লুবাগিং (Bluebugging) কি? কি ভাবে রক্ষা করবেন নিজেকে?

ব্লুবাগিং কথার অর্থ হোল ব্লুটুথ হ্যাকিং, যার সাহায্যে হ্যাকাররা আপনার অজান্তেই আপনার ফোন অ্যাক্সেস করতে পারে। এর সাহায্যে ফোন কল থেকে শুরু করে মেসেজ এবং ব্যক্তিগত তথ্যের অ্যাক্সেস নিয়ে নেয়। হ্যাকাররা একটি নির্দিষ্ট সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে এগুলি করে।

খুব সহজে বলতে গেলে, এই প্রক্রিয়া যেন আপনার সিস্টেমের অ্যাক্সেস নেওয়ার জন্য সাইবার জালিয়াতদের কাছে উন্মুক্ত দ্বার। ব্লুবাগিং থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য আপনি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।

  • ব্লুটুথ (Bluetooth) অপশন অফ রাখুন ব্যবহার করা হয়ে গেলে।
  • নিয়মিত স্মার্টফোনে সিস্টেম সফটওয়্যার আপডেট রাখুন।
  • যত্র তত্র ওপেন WiFi ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
  • সুরক্ষার অতিরিক্ত স্তর যুক্ত করতে মোবাইলে VPN ইন্সটল রাখুন।