প্রচণ্ড গরমে অতীষ্ট জনজীবন। বৃষ্টির দেখা পেলেও তাপমাত্রা তেমন কমছে না বরং বাড়ছে ভ্যাপসা গরম। তাই নিজেকে ঠান্ডা রাখতে এবং বাড়ি ফিরে একটু শান্তি পেতে সকলেরই ভরসা এয়ারকন্ডিশনার। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ সময় এসিতে থাকা শরীরের জন্য ভালো নয়। আর এর পরও যদি এসির মধ্যে থাকতে হয় তাহলে এসির সঠিক তাপমাত্রা (Temperature) নিয়ন্ত্রন করা খুব জরুরি। নাহলে অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
AC Temperature Tips: এসির তাপমাত্রা কত হওয়া উচিৎ?
অনেকেই অফিসে টানা ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা এসিতে কাজ করে থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এসি নানান রকমের কুফল ডেকে আনে। গরমের দিনে এসির জেরে ড্রাই আইজের সমস্য়া দানা বাঁধে। এসি খুব কম তাপমাত্রায় চালানো থাকলে বাইরের সঙ্গে ঘরের তাপমাত্রার বিরাট পার্থক্য তৈরি হয়।
অনেকেই আবার বাইরে থেকে এসে সরাসরি এসিতে প্রবেশ করে ফলে বডি টেম্পারেচার হঠাৎ করে পরিবর্তন হয়। যার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি-জ্বর ইত্যাদি হয়ে থাকে।
তবে এক্ষেত্রে, বাইরে থেকে এসে সরাসরি এসি রুমে প্রবেশ না করে, যদি নরমাল টেম্পারেচার রুমে কিছুক্ষণ থাকা হয় এবং তারপর প্রবেশ করা হয়। তাহলে এরকম সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও বাঁচা যাবে।
এছাড়া রাতে এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। অনেকেই এসির তাপমাত্রা রাতের বেলা ১৬-১৮ তে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এই অভ্যাস কিন্তু বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ ঘুমিয়ে পড়ার পর শরীরের তাপমাত্রা কিন্তু ঠিকমতো নিয়ন্ত্রিত হয় না। এসি চালিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ২৪-২৮ এর মধ্যে তাপমাত্রা সেট করুন।
রুম ঠাণ্ডা করার জন্য তাড়াহুড়ো করবেন না। এমন একটি তাপমাত্রায় সেট করুন, যাতে ধীরে ধীরে ঘরের তাপমাত্রা কমতে থাকে। যার ফলে বিদ্যুৎ খরচও কম হয় এবং মাসের শেষে গুনতে হবেনা মতা টাকা। আর আপনি যদি তারাতারি রুম ঠাণ্ডা করার জন্য তাপমাত্রা অনেকটা কমিয়ে দেন, তাহলে কমপ্রেসার অনেক দ্রুত কাজ করে। যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ তুলনামূলক অনেক বেরে যায়। সুতরাং চেষ্টা করবেন। একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এসি চালানোর।