আপনি কি দীর্ঘ সময় ধরে Mobile Games খেলছেন, যদি আপনাকে বলি যে এটি আপনার জন্য খুবই ক্ষতিকারক হতে পারে? এই সতর্কতা কেবল ঘন্টার পর ঘণ্টা গেমিং সম্পর্কে নয়, বরং স্ক্রিন টাইম সম্পর্কেও। ফোন ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই আছে। ২০২৩ সালে, বেশিরভাগ মানুষই বিভিন্ন গ্যাজেটগুলির দ্বারা আচ্ছন্ন এবং বেশিরভাগ মানুষ দৈনিক কমপক্ষে ১২ ঘন্টা স্ক্রিনের সাথে সংযুক্ত থাকে। কিন্তু, কখনও ভেবে দেখেছেন যে একটি নির্দিষ্ট গেমে আসক্তির কারণে দীর্ঘ সময় ধরে আপনি যদি একটি স্ক্রীনের মধ্যে আটকে থাকেন তবে এটি কতটা ক্ষতিকারক হতে পারে? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
Mobile Games-এর ৫টি ক্ষতিকারক প্রভাব
১.) সর্বপ্রথম ক্ষতিকর বিষয় হল এটি আপনার চোখকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার অফিসের কাজের জন্য একটি কম্পিউটার ব্যবহার করেন এবং একটি নির্দিষ্ট গেমের প্রতিও আসক্ত হন, সেক্ষেত্রে আপনি প্রতিবার বিরতি নেওয়ার সময় এবং রাতেও এটি খেলতে থাকবেন। ফলে আপনার চোখ কিন্তু একটুও বিরতি পাচ্ছেনা। এতে চোখের ক্লান্তি সৃষ্টি হতে পারে, যা অ্যাথেনোপিয়া নামেও পরিচিত। এর ফলে আপনি আপনার চোখে অস্বস্তি অনুভব করবেন এবং মাথা ব্যথাও করবে। স্ক্রীনের ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে সময়ের সাথে সাথে দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে যায় এবং এক্ষেত্রে অ্যান্টি-গ্লেয়ার চশমা পড়ে ডিভাইসগুলি ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২.) আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে একটি নির্দিষ্ট গেমের প্রতি আসক্ত থাকেন, তবে এর ফলও শূন্য হয়। গেম খেলে হয়তো আপনি অনেক আনন্দ পাবেন, কিন্তু আপনি অন্যান্য জিনিসগুলিও বন্ধ করে দেন যা আপনার জীবনের উন্নতিতে করতে সাহায্য করতে পারে।
৩.) অন্যান্য অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা অনলাইন গেমগুলির সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে এতে ম্যালওয়্যার এবং ভাইরাস অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। গেমটি আদৌ আসল কি না সে সম্পর্কে একজন ব্যবহারকারীর ধারণা নেই। অতএব, আপনাকে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট অ্যাপ স্টোর বা গুগল প্লেস্টোরের মাধ্যমে গেম ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, এর মানে এই নয় যে আপনি এই স্টোরগুলিকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করবেন, কারণ কখনও কখনও তারা ম্যালওয়্যার মুক্ত প্রকৃত অ্যাপগুলি অফার করতে ব্যর্থ হয়। ওয়েবের মাধ্যমে প্রিয় গেমগুলির সস্তা বা ফ্রী ভার্সন ডাউনলোড করা এড়িয়ে চলা উচিত।
৪.) ফোনের ক্রমাগত ব্যবহার আপনার মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। গেম খেলার সময় লোকেরা ঘন্টার পর ঘন্টা একই ভঙ্গিতে থাকে, যার ফলে ব্যাধির সৃষ্টি হয়। বেশ কয়েকটি গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে লোকেরা এর কারণে উদ্বেগ, স্থূলতা, ঘুমের ব্যাধি এবং মানসিক চাপের সন্মুখিন হয়।
৫.) অবশেষে, এটি আপনার সামাজিক জীবনকেও প্রভাবিত করতে পারে কারণ আপনি একটি গেমের প্রতি আসক্তির কারণে আপনার প্রিয়জনকে সময় দিতে পারবেন না। এটি আপনার সম্পর্কের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করতে পারে এবং সময়ের সাথে সাথে আপনাকে তাদের থেকে আলাদা করতে পারে যদি আপনি সর্বদা একটি গেম খেলতে ব্যস্ত থাকেন।