Karnataka HC Warns Facebook: জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ফেসবুক ভারতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে (Facebook may be shut down in India)। জুকারবার্গের ফেসবুককে এমনই কড়া হুঁশিয়ারি দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। বারংবার রাজ্য পুলিশের সাথে অসহযোগিতার কথা উঠে আসছিল ফেসবুক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সৌদি আরবে এক ভারতীয় বন্দির তদন্তের ঘটনায় ফেসবুকের সহযোগীতা চেয়েছিল কর্ণাটক পুলিশ, এই মামলার তদন্তে পুলিশকে কোনো রকম সহযোগিতা না করায় কর্ণাটক হাইকোর্টের তরফে দেওয়া হল এই হুঁশিয়ারি। তবে আসলে কি ঘটেছিলো?
Facebook কে ঠিক কি নির্দেশ দেওয়া হল?
ফেসবুককে কর্ণাটক হাইকোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে বিস্তারিত তথ্য পেশ করার কথা জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে কেন্দ্র সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট, মিথ্যে মামলায় এক ভারতীয় নাগরিকের গ্রেফতারির ব্যাপারে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আদালতের তরফ থেকে আরও জানা যাচ্ছে যে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২২ জুন তাই ম্যাঙ্গালুরু পুলিশকেও সঠিক তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করার কথা জানানো হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত, শৈলেশ কুমার নামে এক ব্যাক্তির ফেসবুক পোস্ট ঘিরে। তিনি কাজের সুত্রে সৌদি আরবে যান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে শৈলেশ কুমারের স্ত্রী কবিতা জানিয়েছেন, তাঁর বয়স ৫২ বছর তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর থেকে সৌদি আরবের একটি কোম্পানিতে কাজ করেছিলেন। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সৌদির রাজা এবং পরিবারকে নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করার অভিযোগ ছিল। কিন্তু ধৃতের স্ত্রী দাবি করেন, তাঁর স্বামী এমন কোনও পোস্ট করেননি। তাঁর নামে একটি ভুয়ো ফেসবুক (Facebook) অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এই অপরাধমূলক কাজ করা হয়েছে।
শৈলেশ বিষয়টি জানতে পেরে তার পরিবারকে জানায় এবং তার স্ত্রী কবিতা ম্যাঙ্গালুরু পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে সৌদির পুলিশ শৈলেশ কুমারকে গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দী করে। ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং ফেক অ্যাকাউন্ট তৈরির বিষয়ে ফেসবুকের কাছ থেকে তথ্য চেয়েছে। কিন্তু আফসোসের বিষয়, পুলিশের জিজ্ঞাসার জবাব দেয়নি ফেসবুক। তদন্তে বিলম্বের জেরে ২০২১ সালে কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কবিতা।
উপরিউক্ত কারণের পরিপ্রেক্ষিতে কর্ণাটক হাইকোর্ট মেটা কর্তৃপক্ষকে এমনই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, যে তদন্তে সহযোগিতা না করলে ভারতে ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হবে।