Titanic Submarine : আমরা বিভিন্ন সময়ে অ্যাডভেঞ্চারের খোজে দুঃসাহসিক কাজ করি, তবে এবার যেন এই অ্যাডভেঞ্চারই কাল হল। এই রকমই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ৫ যাত্রীর সাথে। আসলে ঘটনাটি ঘটেছিল ২২ জুন, টাইটান নামে এক সাবমেরিনে (Titanic Submarine) করে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাচ্ছিল ৫ জন যাত্রী। ১৪ই এপ্রিল ১৯১২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরে একটি হিমশৈলে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় RMS টাইটানিক জাহাজটি, যা দেখতে গিয়ে ঘটল বিপত্তি।
সাবমেরিনে থাকা ৫ জন যাত্রী কোনও সাধারান মানুষ ছিলোনা, এরা হলেন বিশ্বের কোটিপতি। টাইটান সাবমেরিন নিখোঁজের পর সারা বিশ্ব তোলপাড় হয়ে যায়। চার দিন ধরে মহাসাগরের তলদেশে ব্যাপক তল্লাশির পর অবশেষে বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারীরা ডুবোজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার কথা জানান।
Titanic Submarine-এর সাথে কি ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল
১৮ই জুন সাবমেরিনটি আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য যায়, কিন্তু দুই ঘন্টা পরে হঠাৎ যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। সাবমেরিন নির্মাতা জানিয়েছে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবার সঙ্গে সঙ্গে অনুসন্ধান অভিযান শুরু করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন টাইটান ডুবোজাহাজের ডুবে যাওয়ার কারণ ক্যাটাস্ট্রফিক এক্সপ্লোশন।
হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, কোনো সীমাবদ্ধ স্থানে অতিরিক্ত চাপ পড়লে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং যদি সাবমেরিনের সেই চাপ সামলানোর ক্ষমতা না থাকে তাহলে এই বিস্ফোরণ হবে এবং সাবমেরিনটি ভেঙে পড়বে। আরও জানা যাচ্ছে, এই সাবমেরিনে ৪ দিনের জন্য অক্সিজেন মজুত ছিল, কিন্তু শেষ রক্ষা হলোনা।
এরপরই দুর্ঘটনায় টাইটানিকের সঙ্গেই মহাসাগরের তলিয়ে যান এই ৫ যাত্রী। বৃহস্পতিবার প্রথম টাইটানের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ওশানগেট এক্সপেডিশন্স ডুবোযানে থাকা পাঁচ আরোহীর মৃত্যুর ঘোষণা করেন। প্রথমে ডুবোযানটি বিস্ফোরণে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড।